লালমনিরহাট জেলা জুড়ে এখন গাছে গাছে আমের মুকুলের সমারোহ। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা সু-স্বাদু ও বাহারী জাতের আম উৎপাদনের জেলার মধ্যে লালমনিরহাটও পিচিয়ে নেই। এ জেলার লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রামে এবারে সব চেয়ে আম উৎপাদন বেশী হবে। তবে আবহাওয়া বিরুপ না হলে আমের উৎপাদন ছারিয়ে যাবে।
লালমনিরহাট কৃষি বিভাগ জানান, জেলায় ৪শত ৭৪হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের আবাদ হয়েছে। সম্প্রতিক বছরগুলোতে আমের ভালো ফলন হচ্ছে। এ বছর শীতের শেষ দিকে মৌসুমের শুরুতেই পর্যাপ্ত তাপমাত্রা থাকায় আম গাছগুলো ব্যাপকভাবে মুকুলায়িত হয়।
অনুকুল আবহাওয়া ও বালাই না থাকায় মুকুল এসেছে গত বছরের চেয়ে অনেক বেশী। পোকা ও বালাই দমনে গাছে গাছে আম চাষীরা ঔষুধ ছিটাচ্ছেন এবং গাছের গোড়ায় পানি দিচ্ছেন। আর অল্প কিছু দিনের মধ্যে গাছে গাছে ঝুলতে দেখা যাবে ল্যাংড়া, খিরসা, গোপালভোগ ও ফজলিসহ নানা জাতের আম। এ বছর এখনো বিরুপ আবহাওয়া বয়ে যায়নি।
ফলে আমচাষীরা আশা করছেন, আমের বাম্পার ফলন হবে। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় আমের পরিচর্যা চলছে। এ জেলার বসতবাড়িতে যাদের আম গাছ আছে তারাও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে জেলায় ৬হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে। গত বছর ৫হাজার ৬শত ৭৮মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছিল বলে কৃষি বিভাগ জানান।